কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এটি আমরা সবাই জানি। যেটি জানি না সেটা হচ্ছে
কাঁঠালের আছে বেশ কিছু অসাধারণ উপকার। যা জানলে কাঁঠাল খাওয়াটা আপনার
কাছে আরো বেশি উপভোগ্য হয়ে উঠবে। তবে আসুন একবার চোখ বুলিয়ে ফেলি
কাঁঠালের পুষ্টিগুণের উপর।
১) কর্মশক্তি বাড়ায়ঃ
কাঁঠালে আছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি। এছাড়াও এতে আছে
সুক্রোজ, ফ্রুক্টজ, যা শরীরে খুব দ্রুত শক্তি যোগায়। কাঁঠালে কোলেস্টেরল
নেই। তাই এটি একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ফল।
২) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
কাঁঠালে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম সোডিয়াম লেবেল, ফ্লুয়িড লেবেল
নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যার মাধ্যমে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের (electrolyte)
ভারসাম্য রক্ষা হয়। যার ফলে এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোক ও
হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা কাঁঠাল খেয়ে
দেখতে পারেন।
৩) চোখ ভাল রাখেঃ
ভিটামিন 'এ' চোখের জন্যে খুবই উপকারী একটি ভিটামিন। আর কাঁঠালে এই
ভিটামিনটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়া যেহেতু কাঁঠালে প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাই এর ফলে চোখের রেটিনাও সুস্থ থাকে।
যারা চোখ সুস্থ রাখতে চান তারা অনায়াসে কাঁঠাল খেতে পারেন।
৪) রক্তস্বল্পতা রোধেঃ
কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, নিয়াচিন, ফলেট, ভিটামিন বি-৬।
এছাড়াও আছে বিভিন্ন ধরণের মিনারেল যেমনঃ কপার, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম
যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। তাই এটি রক্তস্বল্পতা রোধে দারুণ ভুমিকা
রাখে। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্যে কাঁঠাল উপকারি হবে এতে কোন
সন্দেহ নেই।
৫) হাড় গঠনেঃ
কাঁঠালে ক্যালসিয়ামের আধিক্যের জন্যে এটি হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে। এটি
অস্টেওপরোসিস (osteoporosis) নামে হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
তাই যে কেউ হাড় মজবুত করার জন্যে নিতে পারেন জাতীয় ফলের সাহায্য।
৬) ক্যান্সার রোধে অনন্যঃ
কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সাথে রয়েছে phytonutrients এবং flavonoid
যা ক্যান্সার রোধে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। কোলন, ফুসফুস এবং মুখগহ্বরের
ক্যান্সার থেকে রক্ষা করার দারুণ গুণ আছে কাঁঠালের। তাই ক্যান্সার থেকে
যারা বেঁচে থাকতে চান তারা কাঁঠাল খেতে মিস করবেন না।
(৭) গর্ভবতী কিংবা সদ্য মা হওয়া নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
চিকিৎৎসা শাস্ত্রমতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী
মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়। গর্ভবতী
মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থ সন্তানের
বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের
পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ষুত্র- poramorsho
স্বাগতম :
Tuesday, August 19, 2014
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment